বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

ব্যাঙ্গমা-কথন

এই ইতিহাস পড়ার আগে ঠাকুরমার ঝুলি থেকে রূপ-তরাসী (নীল কমল আর লাল কমল) গল্পটা পড়ে আসতে হবে।
এতক্ষণ ধরে যা পড়ছিলেন তা তো গাঁজাখুড়ি বৈকিছু নয়। তবে আসল ঘটনা কিন্তু আমরা সবাই শুনেছি। ভোঁর বেলায় কেউ পড়িমড়ি করে অফিসে দৌড়ায়, কেউ বা ছোলা খেয়ে জগিং করে,অনেকে আরও অনেক অনেক কাজ করে আবার কারো ভোঁর বলে আসলে কিছু নেই। তবে এতকিছুর মধ্যেও বাতাসী নামে ২২ সেমি এর একটা পাখি প্রতিদিন সকালে উঠে গান গাইতে থাকে। গানের মধ্যে থাকে পাখি রাজ্যের কথা, পৃথিবীর অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের কথা। আর একটু কান পেতে শুনলে চাঁপা কান্নার মতো ব্যাঙ্গামা-ব্যাংগামির কথা।
পাখিরা আসলে মহাজগতের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী। তাদের প্রযুক্তির জয় জয়কার চারিদিকে। এত উন্নত যে জাতি সে তো যা চায় তাই করতে পারে। তাই তারা হাতে নেয় এক গবেষণা প্রজেক্ট। মানুষের হাতে যদি পৃথিবী ছেড়ে দেয় তবে কি হবে? গবেষনার স্বার্থে তারা নেয় নীরব দর্শকের ভূমিকা। তাদের কিছু সদস্য থাকবে পৃথিবীতে তথ্য সংগ্রহের কাজে। তারা যদি মানুষের হাতে মারাও পরে তাও কোন প্রতিক্রিয়া দেখান যাবেনা। গবেষণা আগে। তো এই পাখি, এত বুদ্ধিমান প্রাণী কুহু,চাচা, হুম ইত্যাদি ডাক দিয়ে নির্বোধ মানুষদের কাছে নিজেদের বোকা বানিয়েই রেখে দেবে। তবে প্রযুক্তি তে অভ্যস্ত হলে কি তা ছাড়া যায় নাকি! কয়েকদিনের মধ্যেই লাগল হট্টগোল। তাই পাখির গ্যালাক্সি রাজা তাদের পাখি প্রযুক্তি ব্যবহারের বৈধতা দেয়। প্রতিদিন ভোরে তাদের কাছে পৌছে যায় পাখি সমাচার। যাতে থাকে অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের সব খবর। আর পড়া যায় সব ভাষায়। যেদিন যেটা দরকার সেটা খালি দেখা যাবে। তাই তারা আগাম ঝড় বা দুর্যোগের খবর পায়। আছে নিজস্ব হোভারক্রাফট, ইনটারগ্যালাক্টিক ক্ল্যাশ অফ নেস্ট গেম। তবে শর্ত একটাই। মানুষ যাতে না দেখে।

এরকমই এক পাখি প্রজাতি ব্যাঙ্গমা।অন্য পাখির সাথে এদের পার্থক্য যে তাদের আবাস খালি পৃথিবীতেই সবুজ অরণ্যে ঘেড়া জায়গায়।

তবে সব বনে না! যেসকল বনে খালি ডোরাকাটা সোনালি বাঘ থাকবে তার আশেপাশের ১০ পুষ্পক এলাকা তাদের অঞ্চল। (পুষ্পক পাখিদের পৃথিবীর জন্য দূরত্ব পরিমাপ বিষয়ক শব্দ- এক পুষ্পক= ২০০০০ কিমি)  তাদের প্রজাতির দুই তরুণ পাখি ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গামি। তাদের সংসারে এখন নতুন অতিথি। তিনটি ছানা। ছানা গুলোর চোখ ফুটার আগে কয়েক ফোটা রক্ত আর জলপাই এর রস মাখিয়ে গোসল দেয়া বাপ দাদা আমলের নিয়ম। এদিকে এতদিনের সংসার করলে যা হয়। ব্যাঙ্গমা হয়ে উঠেছে আস্ত কুড়ে। আর ব্যাঙ্গামি কথায় কথায় নিজের বাপ দাদার সম্পত্তির কথা(কার কয়টা গাছ ছিল।) নিয়ে গর্ব আর ব্যাঙ্গমার কুড়েমির প্রতি খোঁটা। কাহাতক সহ্য করা যায়। শুরু হয়ে যায় মাতৃভাষায় ঝগড়া। আসলে আমরা যে এত এত ভাষায় কথা বলি সব পাখিদের ভাষা।মানুষ যখন একবার শিখে গেছে তখন তো আর এটা চালানো যায়না।সব পরিকল্পনা বাঞ্চাল হবে। তাই তারা এখন কথা বলে সাঙ্কেতিক ভাষায়। সে যাই হোক, ভাষাতত্ব বাদ দেই, সেই গাছের নিচেই বিশ্রাম নিচ্ছিল রাক্ষস বধের শপথে বের হওয়া দুই বীর লালকমল আর নীলকমল। এরপরের গল্প  তো আপনারা জানেনি। তবে যেটা পরিষ্কার করা দরকার দুই পুঙ্গব কিন্তু মোটেই তাদের বাচ্চাদের পিঠে উঠেনি, তারা উঠেছিল পাখিদের হোভার ক্রাফটে। ২০-২২ সেমি এর পাখির পক্ষে কি সম্ভব নাকি দুই যুবককে কাঁধে নেয়া।এই হল আসল ইতিহাস যেটা আর ইতিহাস পাতায় লিপিবদ্ধ করার মত শ্রোতা আজও জন্মায় নি
*শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাখিরা মানুষের কার্যক্রমে প্রচন্ড হতাশ।। পৃথিবী কি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিবে কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ তর্কবিতর্ক চলছে। তবে তারা শেষ দেখার ই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার টুপ করে আলফা সেন্টুরাই এ সবাই চলে যাবে এই হল তাদের অভিমত।
**এতক্ষণ যে গল্পটা পড়লেন তা আসলে ভোরের বাতাসীর গানের অংশ না। তার গান এর পর থেকে শুরু। আগেই বলেছি মানুষদের কাছে পাখির প্রযুক্তি পৌছান সম্পূর্ন বেআইনি। কিন্তু ব্যাঙ্গমারা সেই আইন ভংগ করে। পাখি সম্রাট এই অন্যায় মেনে নেয় না। ব্যাঙ্গমাদের মানুষেরা চিনে ফেলেছে। তাদের ভুলে পুরো গবেষণাই ধুলিস্যাত হয়ে যেতে পারে। তাই একে একে ব্যাঙ্গমাদের ধরে হয় হত্যা অথবা পৃথিবী নির্বাসন  করা হয়।আর তাদের গল্প পরিণত  করা হয় রূপকথার গল্পে। "আরে গাঁজাখুরি কেউ পাত্তা দেয় নাকি।" তবে পাখিরা কিন্তু নিজে এই কাজ করে নাই। করিয়েছে বুদ্ধিহীন মানুষদের দিয়ে।কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলেছে একপ্রকার। প্রতিদিন তো অনেক পাখির বিলুপ্তির খবর আসে পৃথিবী থেকে। একটু লিস্টি ঘাটলে হয়তো পাওয়াও যাবে মিস্টার এন্ড মিসেস ব্যাঙ্গমাকে।
কি? আমি কিভাবে এই গল্প জানলাম? সর্বনাশ!! আমি কি মানুষের কাছে লেখা পাঠালাম নাকি!!!

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

Trying out texture

Having a very good time with schoolism workshop. =D তবে পরীক্ষা নিয়া পেড়ায় আসি -_-

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

ফ্ল্যাশমব

নাচ জিনিসটার ক্ষেত্রে আমার দৌড় কোমড় দোলানো পর্যন্ত তাই যারা নাঁচতে পারে তাদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। বিশেষ করে একবার চারুতায় গিয়ে তাদের নাঁচের দলের মুদ্রা শিক্ষা যথেষ্ঠ বিমোহিত করেছিল।ফ্ল্যাশমবে এইরকম মুদ্রার ব্যাপার ট্যাপার না থাকলেও যথেষ্ট উচ্ছাস লক্ষণীয় হয়।